স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষেই আছেন তিন বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে। এ পরিস্থিতি উত্তরণে অনার্সের শিক্ষার্থীদের এক বর্ষ থেকে আরেক বর্ষে শর্তসাপেক্ষে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলে তাদের দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ করা হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও শর্তসাপেক্ষ প্রমোশন দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি বলেন, অনলাইনে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ এবং ডিভাইস একটি বড় প্রতিবন্ধক। কিন্তু সব কিছুতে শতভাগ সফলতা সম্ভব নয়। স্বাভাবিক সময়েও নানা কারণে শতভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না।
national university |
প্রমোশনের এই শর্ত কী হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক মশিউর বলেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পরে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রমোশন পাওয়া শিক্ষার্থীদের সেসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। উত্তীর্ণদের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হলেও কলেজে গিয়ে ভর্তি ফি জমা দিতে হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।অনার্সের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করা হচ্ছে এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এখনই বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিষয়টি এমন নয়। আমরা বেসরকারি কলেজে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে চাইছি। পৃথিবীর সব দেশে উচ্চশিক্ষা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। অর্থাৎ সবাই অনার্স-মাস্টার্স করবে বিষয়টি এমন নয়। শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পেশাভিত্তিক ও কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, অনার্স-মাস্টার্স কোর্স অনুমোদনের সময় বেসরকারি কলেজ একটি অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করে। সে অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কলেজ কর্তৃপক্ষ দেয়। কিন্তু কলেজগুলো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিতে গড়িমসি করছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কোনো কলেজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলেই কেবল সে প্রতিষ্ঠানে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বাতিল করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কলেজগুলোতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।