Thursday , December 19 2024

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট সংক্রান্ত নোটিশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেছেন, শুধু পাঁচটি বিষয়ের ফল নিয়ে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীদের জীবনে এ সনদ কোনো কাজে আসবে না, না দেশে না বিদেশে। পরীক্ষা না দিয়ে অটোপ্রমোশনের কোন সুযোগ নেই। অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন তিনি। পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা মূল্যায়ন করে বাকি বিষয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার দাবি জানায় তারা। আরো পড়ুন- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু অটোপাসের দাবিতে ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। 

 

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত অনার্স ৪র্থ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পুরো পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা। মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা মৌখিক ও বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গড় পদ্ধতি অনুসরন করে ৩০দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। এর আগে করোনার কারণে স্থগিত হয়ে গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হতেই বন্ধ হয়ে যায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার প্রভাবে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি যার কারণে এসব পরীক্ষা কবে হলে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব এখনো কমেনি তাই এখনো এত বড় মাপের পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব নয়। এসব পরীক্ষা কবে নাগাদ হবে এমন কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া না গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের আটকে থাকা অনার্স চতুর্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গেছে। আরো পড়ুন- অনার্স চতুর্থ বর্ষে অটোপাস দেয়া হবে না, পরীক্ষা হবে: উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন আর রশিদ বলেন, অনুকূল পরিবেশ হওয়ার সাথে সাথে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ফল দেয়া হবে। 

 

ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলব, তারা যেন বাড়িতে বসে পড়ালেখা করে। এজন্য যে, এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা একের পর এক পরীক্ষা নিতে থাকব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান বলেছেন, আমরা কলেজ খোলার অপেক্ষায় আছি। কলেজ চালু হলেই স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। নতুন সূচিও দেওয়া হবে। একই দিনে একাধিক বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষা জট কমিয়ে ফেলার চিন্তা রয়েছে বলে তিনি জানান। তাছাড়া পরীক্ষা জট কমাতে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

About Staff Reporter

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *