Directorate General of Food Job Exam Date |
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ)-এর সহায়তা চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত অনুরোধ করেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
ওই আবেদনের পর এনটিএরসিএকে চিঠি দিয়ে নিয়োগ-পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা, সেই বিষয়টি জানতে চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ-এর মহাপরিচালক এস এম আশফাক হুসেন বলেন, ‘খাদ্য অধিদফতরের চিঠি পেয়েছি। আমরা পরীক্ষা নিতে পারবো কি না, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সিদ্ধান্ত নেবো।’
খাদ্য অধিদফতরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক হাজার ১৬৬টি শূন্যপদে পদে নিয়োগ দিতে খাদ্য অধিদফতর আয় করেছে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫০ টাকা। নির্ধারিত পদের বিপরীতে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৩টি আবেদনপত্র জমা হয়। এসব আবেদনকারীর কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে এই টাকা রাজস্ব আসে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, খাদ্য উপরিদর্শক পদসহ ২৪ ক্যাটাগরির ২৩টি পদে ১১২ টাকা এবং স্প্রেম্যান পদের জন্য সার্ভিস চার্জ ৫৬ টাকা নেওয়া হয়।
গত বছর ১১ জুলাই অনলাইনে এবং ১২ জুলাই সংবাদপত্রে শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে খাদ্য অধিদফতর। শূন্য পদের বিপরীতে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৩টি আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর সমস্যায় পড়ে সংস্থাটি। কারণ লাখ লাখ প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষমতা নেই অধিদফতরের। এই পরিস্থিতিতে সংস্থাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে এনটিআরসিএ-এর সহায়তা চায়।
এনটিআরসিএ-সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৪ লাখ আবেদনকারীর পরীক্ষা নিতে ২০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। রয়্যালিটি দিতে হবে ২০ শতাংশ। এতে ন্যূনতম খরচ হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। তবে এনটিআরসিএ শুক্রবার ও শনিবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে। কারণ, ছুটির দিন ছাড়া অন্য দফতরের পরীক্ষা নিতে গেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের দায়িত্বের বাইরে কাজ করতে চাইবেন না। এই পরিস্থিতে বাড়তি খরচ দিয়ে শুক্রবার ও শনিবার পরীক্ষা নিতে হবে তাদের। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ পড়বে খাদ্য অধিদফতরের। যদিও ৪০ কোটি টাকার বেশি বাজেট রয়েছে এই পরীক্ষার জন্য। এছাড়া, আরও প্রায় ১৪ কোটি টাকা আবেদন থেকে আয় করেছে খাদ্য অধিদফতর। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
Insaallah