সভা সূত্র জানায়, করোনার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি, বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। যাদের এ সুবিধা নেই তাদেরকে দ্রুত ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আর যাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুবিধা আছে, তাদের অবিলম্বে সে প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে।
National University Update News |
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের অনেক কলেজেই অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব হবে। যেসব কলেজে এই সুযোগ-সুবিধা আছে, আমরা সেসব কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করব। আবার অনেক কলেজে সেটা সম্ভবও হবে না।
তিনি বলেন, ‘সেজন্য আমি বলেছি, আমরা সব কলেজে একটা নিদের্শনা দিব, যারা যারা পারে তারা যেন অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যায়। আর অনেক শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন বা কম্পিউটার নেই। ফলে তারা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে না।’
অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলব, তারা যেন বাড়িতে বসে পড়ালেখা করে। এজন্য যে, এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা একের পর এক পরীক্ষা নিতে থাকব। আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে ওভারকাম করেছি, সেই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘করোনা নিয়ে একদিকে যেমন জীবন-মরণ প্রশ্ন; আবার অন্যদিকে শিক্ষা কার্যক্রম। তাই দুটোর মধ্যে ব্যালান্স করতে হবে। আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারিনা। এজন্য বলেছি যারা যারা (কলেজ) অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যেতে পারবে; তারা যেন চালিয়ে যান। করোনা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বের জন্যই নতুন সমস্যা।’
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহসহ বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক নেতা এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
Copyright; The daily campus
হায় হায়