রোববার (১৯ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
HSC Admission |
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ভর্তির যাবতীয় তথ্য শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) কোটা বহাল থাকছে। তবে অন্যান্য কোটা নিয়ে নীতিমালায় কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। শুধু অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভর্তিতে আবেদন ফি ও ভর্তি ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির একটি সূত্র জানায়, ভর্তির সময় পরিবর্তন হলেও ইতোমধ্যে প্রকাশিত নীতিমালা অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালায় বিশেষ কোটা হিসেবে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, দশমিক পাঁচ শতাংশ বিকেএসপি এবং দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবাসী কোটা বহাল থাকছে। প্রবাসীদের সন্তান ভর্তির বিষয়ে সরাসরি বোর্ডে আবেদন করতে হবে। তবে বিভাগীয় ও জেলা সদর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরগুলোর কোটার বিষয়ে খসড়ায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যম ভর্তির জন্য ৯ হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমের ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হবে। সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রসিদ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা ও পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা। তবে ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ রোববার জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির জন্য একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে কিছু বিলম্ব হওয়ায় আগের চেয়ে সময় কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। এবার এক মাস পাঁচ দিনের মধ্যে তিনটি ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে ভর্তি নীতিমালা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভা করে চূড়ান্ত করা হবে।’