করোনার কারণে স্থগিত রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে একাধিক বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষা জট কমিয়ে ফেলার চিন্তা করা হচ্ছে৷ সেশনজট নিরসনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একের পর এক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
NU News |
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানালেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সেশনজট কমানোর জন্য ২০১৪ সালে একবার ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছিল। এ কারণে শিক্ষাবর্ষ ১ বছরের স্থলে ৮ মাস হয়েছিল। সেজশজট নিরসনের জন্য দ্রুত ফরম পূরণ, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের উদ্যোগের নাম ক্রাশ প্রোগ্রাম। পাঠদান ও শিক্ষাগ্রহণ বড় বিষয় নয়, পরীক্ষা নিয়ে সেশনজট কমানোই ছিল ঐ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য। ক্রাশ প্রোগ্রাম করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট থেকে মুক্তি লাভ করেছিল।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় সেশনজটে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেছেন, এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা একের পর এক পরীক্ষা নিতে থাকব। আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে ওভারকাম করেছি, সেই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেমন হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান বলেছেন, আমরা কলেজ খোলার অপেক্ষায় আছি। কলেজ চালু হলেই স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। নতুন সূচিও দেওয়া হবে। একই দিনে একাধিক বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষা জট কমিয়ে ফেলার চিন্তা রয়েছে বলে তিনি জানান। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মতে, যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষার্থীর চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বয়সে বড়। তাই এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলে সে আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া পরীক্ষা জট কমাতে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন- অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট চেয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা
জানা গেছে, আগষ্ট পর্যন্ত ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষ, মাস্টার্স ফাইনাল, মাস্টার্স প্রিলিমিনারি, অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। প্রতিটি বর্ষের ৩১টি বিষয়ে পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে এসব পরীক্ষার সূচিও করা যায়নি। অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা অর্ধেক হবার পর বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠান। আটকে আছে ৩য় বর্ষের ব্যবহারিক পরীক্ষাও। এছাড়াও বিভিন্ন প্রফেসনাল কোর্সের শতাধিক পরীক্ষা আটকে আছে।