২৪ জুন উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে ২০ লাখ শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে
আজ সোমবার (২২ জুন) উপবৃত্তির ৩২৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা ছাড় হয়েছে। ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থীরা এ টাকা পাবেন। আগামী ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উপবৃত্তি টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মােবাইল অ্যাকাউন্টে পৌছে যাবে।
আজ এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যুক্ত হয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Stipend News |
একইসাথে জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৭ কোটি ৩২লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা প্রদানের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুকসহ সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিমের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকা বৃত্তি বাবদ দেয়া হয়। বৃত্তি পাওয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ করা টাকা পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পাঠানো হবে। অনলাইনে বৃত্তি সেবাটি মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সব বৃত্তির কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। আগে ম্যানুয়াল পদ্বতিতে বৃত্তি দেয়া হত। তাই, শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হত। অনলাইনে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের টাকা পেয়ে যাবে। এতে, সরকারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তার ফলস্বরূপ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ পৌঁছে দিতে পারছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে এক্ষেত্রে যে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
শিক্ষার্থী নির্বাচন করার পর শিক্ষার্থীর আবেদন দাখিল, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক অনুমােদন, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তালিকা দাখিল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কর্তৃক অনুমােদন, অতঃপর তা স্কিম পরিচালকের কাছে দাখিল ও অনুমােদন, স্কিম পরিচালক কর্তৃক বিল দাখিল, মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ অফিস কর্তৃক বিল পাসের পর বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সংশ্লিষ্ঠ মােবাইল সার্ভিস প্রােভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মােবাইলে পৌছে দেয়া- এই পুরাে কাজটি অনলাইনে করা হবে।