জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফল প্রকাশের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রবিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
nu hons 4th year result |
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের চলাকালিন পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। যার ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও একধাপ পিছিয়ে পরে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফল প্রকাশের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন
আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিম্ন-মধ্যবিত্ত। পড়াশুনার জন্য প্রায় শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল কিংবা বিভিন্ন মেসে অবস্থান করে। বর্তমানে করানো পরিস্থিতির কারণে শহরে অবস্থানরত ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী আর্থিক এবং মানসিক দুর্বলতার জন্য গ্রামে গিয়ে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষার্থীই মানসিক এবং আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত। মেস ভাড়া না দিতে পারায় অনেক শিক্ষার্থী গ্রামে চলে আসায় অনেকে তাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হারিয়ে ফেলেছে।
এমন অবস্থায় ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই সেশনজট নিরসনসহ চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য পরীক্ষা না নিয়ে কিছু বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা অনেক উপকৃত হবো।
পরে শিক্ষার্থীরা তাদের এ দাবি সংবলিত একটি আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পেশ করেন।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ জানান, পরীক্ষা না দিয়ে অটোপ্রমোশনের কোন সুযোগ নেই । অনুকূল পরিবেশ হওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ফল দেয়া হবে। শুধু পাঁচটি বিষয়ের ফল নিয়ে সর্টিফিকেধারী শিক্ষার্থীদের জীবনে এ সনদ কোন কাজে আসবে না, না দেশে না বিদেশে।
আর কত দিন গেলে আমাদের 4th year ar বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।করোনা এসে মানুষ মারা যাচ্ছে এটার খবর তো সাবাই রাখছে। কিন্তু 4th year এর জীবন্ত লাশ গুল্রর খবর কয়জন রাখছে।
H.S.C. হচ্ছে না, আর দেশে পরীক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা মিনিমাম ছয় মাসের ব্যাপার, এতদিন আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার প্রত্যাশায় ছিলাম, আজকে থেকে আর সেই প্রত্যাশা করি না, আমাদের সময়েরও যথেষ্ট মূল্য আছে, চারটে পরীক্ষা আমাদের কাছে বড় কথা নয়, সময়টাই আমাদের কাছে মূল্যবান, এখন আমরা বলতেই পারি হয় পরীক্ষা নাও না হয় মূল্যায়নের মাধ্যমে রেজাল্ট দাও, আর আমি অবশ্যই এটি আশা করি যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে শীঘ্রই নোটিশ প্রদান করবে, আর এই মুহূর্তে দেশব্যাপী অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি আন্দোলনে নেমে পড়া উচিত, দেশের প্রত্যেকটি কলেজে শীঘ্রই একযোগে এই আন্দোলন শুরু অতি প্রয়োজনীয়
H.S.C. হচ্ছে না, আর দেশে পরীক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা মিনিমাম ছয় মাসের ব্যাপার, এতদিন আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার প্রত্যাশায় ছিলাম, আজকে থেকে আর সেই প্রত্যাশা করি না, আমাদের সময়েরও যথেষ্ট মূল্য আছে, চারটে পরীক্ষা আমাদের কাছে বড় কথা নয়, সময়টাই আমাদের কাছে মূল্যবান, এখন আমরা বলতেই পারি হয় পরীক্ষা নাও না হয় মূল্যায়নের মাধ্যমে রেজাল্ট দাও, আর আমি অবশ্যই এটি আশা করি যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে শীঘ্রই নোটিশ প্রদান করবে, আর এই মুহূর্তে দেশব্যাপী অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি আন্দোলনে নেমে পড়া উচিত, দেশের প্রত্যেকটি কলেজে শীঘ্রই একযোগে এই আন্দোলন শুরু অতি প্রয়োজনীয়